বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এ আদেশ দেন।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা এবং মকবুল নামের দলের এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান আদালতকে লিখিতভাবে জানান, আসামি মোশাররফ হোসেন বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। তাই তাঁকে কারাগারে আটক রাখা দরকার।
এদিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে মোশাররফ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মকবুলকে হত্যার মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের ৭০–৮০ জন সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান; যার আনুমানিক মূল্য ৪৭ লাখ টাকা। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে সেদিন মকবুল নামের এক বিএনপির কর্মীকে হত্যা করা হয়।