শান্তি সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গুলিস্তানে সংঘর্ষে নিহত ১

সংঘর্ষে আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশের শেষ দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের কাছে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও চার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা দাবি করেছেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আহত তিনজন পথচারী। তাঁরা হলেন আরিফুল ইসলাম (১৮), মো. জোবায়ের হোসেন (১৬) ও মোবাশ্বের (২৫)। একজন যুবলীগ কর্মী, তাঁর নাম নোমান হোসেন ওরফে রনি (৩২)। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর বয়স ২৫ বছর হতে পারে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আজ শুক্রবার শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী ও এক ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গুলিস্তানে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সদস্য সৈকত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতা যখন শেষ পর্যায়ে, তখন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সমর্থকেরা কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের বেশ কিছু সমর্থক আহত হন। তিনি দাবি করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।

সমাবেশে অংশ নিতে আসা কামরুল ইসলামের সমর্থকদের মাথায় কমলা রঙের ক্যাপ (টুপি) ছিল। আর শাহীনের সমর্থকদের মাথায় ছিল লাল রঙের ক্যাপ।

মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি সমাবেশের সামনের অংশে ছিলেন। এ ঘটনায় কারা হামলা করেছে, কাদের ওপর হামলা হয়েছে, তা তিনি জানেন। শাহীনের সমর্থকেরা সব সময় অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেন।