স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী বাবুল যেভাবে প্রধান আসামি হলেন

স্ত্রী হত্যা মামলায় এখন কারাবন্দী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
ফাইল ছবি

ছয় বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম খুন হলে তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর এই কান্না সহকর্মীসহ অন্যদেরও আবেগাপ্লুত করেছিল।

শুরুতে মাহমুদা খুনে জঙ্গিরা জড়িত—এমন সন্দেহ সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু ঘটনার সপ্তাহ তিনেকের মধ্যেই সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুলের নাম আলোচনায় আসে।

একপর্যায়ে গভীর রাতে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে বাবুলকে ডেকে নিয়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাবুল পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তখন জোর আলোচনা শুরু হয়, বাবুলই কি এই খুনে জড়িত?

তারপর পাঁচ বছর কেটে যায়। গত বছরের মে মাসে মাহমুদা হত্যার তদন্ত ভিন্ন মোড় নেয়।

সে সময় বাবুলের দুই ব্যবসায়িক সহযোগী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেন, তিন লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাবুল তাঁর স্ত্রীকে খুন করান।

স্ত্রী খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হন বাবুল। বাদী বাবুলই হয়ে যান আসামি।

প্রধান আসামি বাবুল

বাবুল আক্তার

বাবুলের করা মামলায় তাঁকে প্রধান আসামি ও পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অভিযোগপত্রে বাবুলের সঙ্গে আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে আছেন। মুসা ও কালু শুরু থেকেই পলাতক।

অভিযোগপত্রে চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। তাঁদের মধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগপত্রে মামলার বাদী বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। বাবুল কীভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তার তথ্য-প্রমাণ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মোট ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাঁদের পাঁচজন এই মামলার বর্তমান ও সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা। ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার মূল কেস ডকেট (নথি) ও ২১ ধরনের আলামত অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে আগামী ১০ অক্টোবর শুনানি হবে।

ছয় বছর আগে স্ত্রী মাহমুদা খানম খুন হওয়ার পর এই চেহারায় দেখা গিয়েছিল সে সময়ের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে

মামলা

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন মাহমুদার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মোশাররফের মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। আদালতের নির্দেশে মামলাটি আবার তদন্ত করে গতকাল অভিযোগপত্র দিল পিবিআই।

বাদী যেভাবে আসামি

মাহমুদা হত্যার পর বাবুলকে শোকে কাতর হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। স্ত্রী হত্যার পর বাবুল প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন। কিছুদিনের মাথায় ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুলকে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে পুলিশ জানায়, বাবুল চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু বাবুল দাবি করেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি।

বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু

বাবুলকে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন মুখ খুলতে শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করতে থাকেন, এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে বাবুল তাঁর স্ত্রী মাহমুদাকে খুন করেছেন।

মোশারফ হোসেন আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেদিন জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল খুনের কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি সে সময় প্রকাশ করা হয়নি।’

মামলা তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্তের শুরুটা হয়েছিল একটা প্রশ্নের জবাব খোঁজার মধ্য দিয়ে। সেটা হলো, ঘটনাস্থলে কামরুল ওরফে মুসা থাকার পরও কেন তাঁকে শনাক্ত করতে পারলেন না বাবুল। তিনি মুসাকে দায়ী না করে জঙ্গিদের ওপর দায় চাপান।

তারপর দীর্ঘদিন মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতির খবর আসছিল না। হত্যাকাণ্ডের সাড়ে তিন বছর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। হত্যা মামলায় বাবুলকে সম্পৃক্ত করার মতো সাক্ষ্যপ্রমাণ তখন পিবিআইয়ের হাতে ছিল না।

অন্যদিকে, ‘নিখোঁজ’ মুসার খোঁজ না মেলায় তাঁকে ধরতে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। অবশ্য তাঁর স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, ঘটনার সপ্তাহখানেক পর মুসাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এই অভিযোগ শুরু থেকেই পুলিশ অস্বীকার করে আসছে।

পিবিআইয়ের তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাবুলের আর্থিক লেনদেনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়েই হত্যাকাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

পিবিআইয়ের তদন্তকারীরা মূলত ২০১৬ সালে মাহমুদা হত্যার আগে-পরে বাবুলের আর্থিক লেনদেনের খোঁজখবর করেন। তাঁরা দেখতে পান, হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় বাবুল তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন। এই পর্যায়ে তদন্তকারীরা গাজী আল মামুন ও সাইফুল হক নামের দুই ব্যক্তির খোঁজ পান।

বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুলের কাছ থেকে লাভের তিন লাখ টাকা চেয়ে নিয়েছিলেন বাবুল। এই টাকা তিনি নড়াইলের মামুনের কাছে পাঠান। মামুন এই টাকা মামলার অন্যতম আসামি মুসা, ওয়াসিমসহ অন্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন। পাঁচ বছর আগের এই লেনদেনের তথ্য পিবিআই বিকাশ থেকে সংগ্রহ করে।

পিবিআই অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছরের ১১ মে সাইফুল ও মামুন আদালতে সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

পরদিন ১২ মে বাবুলকে স্ত্রী খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তার আগের দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আনা হয়েছিল।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাবুলের সোর্স এহতেশামুল আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি বলেন, বাবুলের নির্দেশে মুসা এই খুন করেন। নির্দেশ অনুসারে কাজ না করলে মুসাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বাবুল।

২০১৬ সালে ওয়াসিম ও আনোয়ার জবানবন্দিতে মুসার নির্দেশে মাহমুদাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তখন তদন্ত আটকে ছিল ‘মুসায়’। কারণ, মুসা কার নির্দেশে এই খুন করেছেন, তা তখন জানা যায়নি।

যে কারণে খুন

অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে বাবুল তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন বলে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক হয়। কক্সবাজারের যে বাসায় ওই নারী থাকতেন, সেখানকার নিরাপত্তাকর্মী সরওয়ার আলম ও গৃহকর্মী পম্পি বড়ুয়া গত ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে দুজনই কক্সবাজারে ওই নারীর বাসায় বাবুলের যাতায়াতের বর্ণনা দেন। ওই নারীর কাছ থেকে বাবুল একটি বই উপহার পান। মামলার আলামত হিসেবে বইটি জব্দ করে পিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে হাতের লেখা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে উপহারের বইয়ে থাকা হাতের লেখা বাবুলেরই। তাঁদের পরিচয়, দেখা-সাক্ষাৎসহ নানা তথ্য বইয়ে থাকা হাতের লেখায় রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে বাবুল তাঁর স্ত্রীকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করান। এ জন্য তিনি তিন লাখ টাকা দেন। সাক্ষী ও আসামিদের জবানবন্দিতে এই হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি এসেছে। এ কারণে বাবুলকে আসামি করা হয়েছে।

তবে বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে কোনো নারীর সম্পর্ক ছিল না। গভীর ষড়যন্ত্র করে তাঁকে এই হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাবুলের নির্দেশে মুসা সবকিছু করেছেন বলা হলেও ছয় বছরে তাঁর হদিস কেন পায়নি পুলিশ? আগে তাঁকে খুঁজে বের করা হোক।’

পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে তুলে ধরা সব বিষয় আদালতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানান হাবিবুর রহমান। তিনি মাহমুদা হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

বাবুলের যত আবেদন

বাবুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আদালতে একের পর এক আবেদন করে আসছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর পিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে বাবুল আদালতে আবেদন করেন। গত বছরের নভেম্বরে র‍্যাব বা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দিয়ে মামলা তদন্তের জন্য আবেদন করেন বাবুল। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আদালত এই আবেদন নাকচ করে দেন।

গত বছরের ২৩ আগস্ট মামলার নথিপত্র পিবিআই ঘষামাজা করতে পারে আশঙ্কায় বাবুল তা জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। একই বছরের ১৭ নভেম্বর আদালত মামলার সিডির (নথি) একটি অনুলিপি জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দেন।

বাবুল কারাগারের বাইরের হাসপাতালে থাকতে আদালতে আবেদন করেছিলেন। তিনি নিজেকে ‘গুরুতর অসুস্থ’ হিসেবে আদালতে তুলে ধরেছিলেন। নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার তথ্যও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন বাবুল। আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়।

সবশেষ গত সোমবার কারাগারে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন বাবুল। আবেদনে বলা হয়, ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করার পর তাঁরা বাবুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত শনিবার ফেনী মডেল থানার ওসি ফেনী কারাগারে গিয়ে বাবুলের সেলে তল্লাশি চালান, যা কারাবিধিতে নেই। এখন বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি শনিবার ফেনী কারাগারে গিয়েছিলেন কাজে। কিন্তু তিনি বাবুল বা কোনো বন্দীর কক্ষে যাননি, তল্লাশি চালাননি।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বাবুলের করা সবশেষ দুটি আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ রেখেছেন আদালত।

বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় তাঁর মক্কেল বারবার আদালতে আবেদন করছেন। তাঁরা শুরু থেকেই পিবিআইয়ের তদন্তে অনাস্থা জানিয়ে আসছিলেন।

মাহমুদার বাবা মোশারফ হোসেন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবুল কারাগারে বসে মিথ্যা অভিযোগে যেভাবে আদালতে একের পর এক আবেদন করে যাচ্ছেন, তাতে আমরা বিচার নিয়ে শঙ্কিত। বাবুলের সহযোগীরা সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাতে পারেন বলেও আমরা আশঙ্কা করছি।’