মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় ১০ আসামিকে আরও পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশ্রাব আলী।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের আরও পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামি হলেন—শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আবদুল্লাহ, আবদুর সবুর ও রশিদ উন্নবী ভূঁইয়া।
গত ২৯ নভেম্বর ইদি আমিন নামের আরেক আসামির তিন আত্মীয়ের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাঁরা হলেন—খোদেজা আক্তার, নাসির মিয়া ও তানভীর হোসেন। এই তিনজনের বিরুদ্ধে ইদি আমিনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইদি আমিন ২৭ নভেম্বর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁদের সহযোগীরা।
ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তাঁরা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া তাঁরা আরও কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি।