জঙ্গিসহ গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আদালতে নিতে ডান্ডা বেড়ি পরানোর অনুরোধ

রোববার পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে (তিনজন বসা পেছনের মোটরসাইকেল) করে তাঁদের সহযোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন বলে ধারণা তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের
ছবি: সংগৃহীত

কারাগার থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডা বেড়ি পরিয়ে আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কারা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) জসিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার কারা মহাপরিদর্শক বরাবর লেখা এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কারাবিধি অনুযায়ী সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে উপস্থাপনের সময় ডান্ডা বেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। ডান্ডা বেড়ি না পরানোর কারণে ইতিমধ্যে আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, আসামিদের ডান্ডা বেড়ি পরানো হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যেত।

গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে উপস্থাপনের জন্যও চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গত রোববার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে মারধর ও চোখে স্প্রে নিক্ষেপ করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সহযোগীরা। ওই সময় ওই আসামিদের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল।

ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তাঁরা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি তাঁরা।

দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে ঢাকার আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদারে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আদালতের হাজতখানায় যুক্ত হয়েছে ৬০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট। বড় সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি আসামি আনা-নেওয়ার সময় এখন থেকে পুলিশের সদস্যরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরবেন।