রাজধানীর পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডের একটি বাসার সিলিং ফ্যানের হুকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন মাটিকাটা শ্রমিক জুয়েল মিয়া (২৮) ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২২)। পুলিশ বলেছে, প্রাথমকি তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রামপুরা থানার পুলিশ জানায়, জুয়েল মিয়া তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিতাস রোডের একটি টিনশেড ঘরের একটি ছোট্ট কক্ষে ভাড়া থাকতেন। নাসরিন বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। জুয়েলের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম এবং নাসরিনের কিশোরগঞ্জে।
রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, নাসরিনের ভাই টিটু খন্দকার তাঁর পাশের ঘরেই থাকতেন। গতকাল তিনি জানালা দিয়ে দেখতে পান, নাসরিন ও তাঁর স্বামীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। এরপর তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে রামপুরা থানার পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে জানালা দিয়ে জুয়েল ও তাঁর স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলতে দেখে। পরে সেখান থেকে ওই দম্পতির লাশ নামিয়ে এনে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। সিআইডির অপরাধ শনাক্তকরণ দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এই দম্পতির একটি ছেলে সন্তান ছিল। সে সাত মাস আগে মারা গেছে। এ ছাড়া তাঁদের আর্থিক সংকট ছিল। এ কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনে একসঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আলামতে সেই ধরন স্পষ্ট।