চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৬৩ গ্রাম ওজনের সোনার বার ও গয়না জব্দ করা হয়েছে। আজ রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে এসব সোনা জব্দ করেন কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আবদুল করিম নামের ওই যাত্রীর ব্যাগ থেকে এসব সোনা জব্দ করা হয়। তাঁর বাড়ি ফেনীর পরশুরামে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, করিম বৈধভাবে একটি সোনার বারের (১০০ গ্রাম) শুল্ককর পরিশোধ করেন। তবে সন্দেহ হওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করেন। পরে আরও ১২টি বার পাওয়া যায়।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, সোনা পাচারের চেষ্টা করায় করিমের বৈধভাবে আনা সোনাও জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৮২ লাখ টাকা মূল্যের ৯৬৩ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়। পরে তা বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করে এনএসআই। করিমের বিরুদ্ধে কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে সোনার বার আনার সীমা কমানো হয়েছে। ভরিপ্রতি করভার বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ। বাজেটে কড়াকড়ি আরোপের তিন দিনের মাথায় এই সোনার বার জব্দ করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার দিন ২০১৬ সালের যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা বাতিল করে নতুন বিধিমালা জারি করা হয়। আগের বিধিমালা অনুযায়ী, একজন যাত্রীর বিদেশ থেকে ফেরার সময় ২৩৪ গ্রাম ওজনের (দুটি সোনার বার) বার বা স্বর্ণপিণ্ড শুল্ককর দিয়ে আনার সুযোগ ছিল। এ জন্য প্রতি ভরিতে (১১.৬৬৪ গ্রাম) দুই হাজার টাকা শুল্ককর দিতে হতো।
তবে নতুন বিধিমালায় সোনা আনার সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম ওজনের (একটি সোনার বার) সোনার বার আনতে পারবেন। এ জন্য ভরিপ্রতি আগের দুই হাজার টাকার পরিবর্তে চার হাজার টাকা শুল্ককর দিতে হবে। তবে আগের মতো বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না আনতে পারার বিধান বহাল রয়েছে।