রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর

৫ আগস্টের পর আলোচিত ৪৩ মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্ত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচিত ৪৩ মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৬২২ মামলায় ১৫ হাজার ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। তাঁরা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পান। বর্তমান সরকার ওই ৬২২ মামলা প্রত্যাহার করেছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন আরও বলেন, কারা অধিদপ্তর ও কারাগারগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংস্কার শুরু হয়েছে। সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এখন পদায়ন করা হচ্ছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুরেফিরে একই কর্মস্থলে ছিলেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অন্য সংস্থার সহযোগিতায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত হচ্ছে।

কারা মহাপরিদর্শক জানান, বন্দী ও কারারক্ষী অনেকেই মাদকাসক্ত। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে এক কারারক্ষীকে মাদকসহ পাওয়া যাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কারাগারে যাতে মাদক ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে কারাফটকে প্রতিনিয়ত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কারাগার মাদকশূন্য করার জন্য ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে শূন্যে নিয়ে আসা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পর সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মিলিয়ে ৩৭ জন কারাগারে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জন ডিভিশন সুবিধা পেয়েছেন।