ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট

স্থায়ী জামিন পেলেন সম্রাট, অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৫ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সম্রাটের স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। সম্রাট আজ আদালতে হাজির ছিলেন। আসামিপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। এ ছাড়া সম্রাটের জামিন স্থায়ী করার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।

মামলাটিতে ২০২১ সালের ২২ আগস্ট একই আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন সম্রাট। এর আগে তিনি আরও তিনটি মামলায় জামিন পান। এগুলো মাদক, অর্থ পাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া অভিযোগপত্রে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, এ টাকা তিনি পাচার করেছেন। গত বছরের ২২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তখন র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখানে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার কথা বলা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।