রাজধানীর কলাবাগানে একটি বাসা থেকে আট বছর বয়সী এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলায় গৃহকর্ত্রী সাথী পারভিনকে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার পর সাথী যশোরে সাবেক স্বামীর কাছে যান। গতকাল শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, খুনের আগের দিন পা দিয়ে শিশুটির গলা চেপে ধরেছিলেন সাথী।
কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন সাথী। গত শনিবার দুপুরে ওই বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নন্দীবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম হক মিয়া ও মা হাসিনা বেগম। দুজনই মারা গেছেন।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় সাথীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
সুরতহাল প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, শিশুটির সারা শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া তার দুই চোখেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। হাত ও পায়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভূতের গলির একটি বাসায় গৃহকর্মীর লাশ পড়ে আছে, এমন সংবাদ পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। দরজা বন্ধ দেখে মিস্ত্রি ডেকে নতুন চাবি বানিয়ে তালা খুলে ঘরের ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। এ সময় খাটের ওপর শিশুটির লাশ দেখতে পান তাঁরা। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তাঁরা।