রাজধানীর বংশালের একটি বাসা থেকে তরুণীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সোনিয়া আক্তার (২৪) ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ বলছে, সোনিয়া আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে-এটা নিশ্চিত। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোনিয়ার বাবা ও ভাইকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা জুলেখা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বংশাল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সোনিয়ার পরিবারের সদস্যদের আচরণ রহস্যজনক। তাদের কথাও অসংলগ্ন মনে হচ্ছে। সোনিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর বাবা ও ভাই অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয়রা তাঁদের যেতে দেননি। এখনো হত্যার বিষয়ে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, বংশালের আবুল খয়রাত সড়কের ১৩ নম্বর ভবন থেকে সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনেই তিনি পরিবারে সঙ্গে থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি টেইলার্সের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর বাবা শাহজাহান মিয়া ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে সোনিয়ার বাবা শাহজাহান ও ভাই আদনান শাকিল কাজে বের হন। আদনান পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি দুপুরে বাসায় ফিরে সোনিয়ার হাত,পা ও মুখ বাঁধা লাশ দেখতে পান।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কেরানীগঞ্জের এক যুবকের সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়। এই বিয়েতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিরোধিতা করেছিলেন। বিশেষ করে তাঁর বাবা ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনো শ্বশুরবাড়িতে যাননি। ঘটনার পর সোনিয়ার পরিবারের সদস্যদের রহস্যজনক আচরণের কারণে তাঁদের সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।