বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী গ্রেপ্তার

নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ
নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূরে (পরশ) হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি আয়াতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলছে, আয়াতুল্লাহ বুশরা ফারদিন নূরে পরশের বান্ধবী।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (এসি) হায়াতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলা আসামি বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর রামপুরা থানায় হত্যার ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় ফারদিন নূরের বান্ধবীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারদিন নূরের বান্ধবীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ফারদিন নূরের ওই বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। চার বছর ধরে ওই বান্ধবীর সঙ্গে ফারদিন নূরের যোগাযোগ।

ফারদিন নূর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে সংযুক্ত থাকলেও হলে থাকতেন না৷ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ গত সোমবার ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে। ফারদিন নূরের বাবা কাজী নূর উদ্দিন একজন সাংবাদিক। তিনি দ্য রিভারাইন নামে ব্যবসাবিষয়ক একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। মা সাহারা খাতুন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।

শনিবার থেকে ফারদিন নূরের খোঁজ মিলছিল না। ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। এতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বেলা তিনটার দিকে আমার ছেলে ফারদিন নূর পরশ ঢাকার ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার নিজ বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশ্যে বের হয়।

পরদিন শনিবার সকাল ১০টায় তার বিভাগের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা ছিল। পরে জানতে পারি যে আমার ছেলে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে একজন মেয়েবন্ধুর সঙ্গে রিকশায় করে রামপুরা থানাধীন ট্রাফিক বক্সের সামনে নেমে যায় সে। সে এখনো বাসায় ফেরেনি।’