আনোয়ারুল আজীম
আনোয়ারুল আজীম

ঢাকায় এসে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন আইবির চার কর্মকর্তা

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও বাংলাদেশের পুলিশ সমন্বয় করে তদন্ত করছে। তদন্তকাজে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল কলকাতায় যাওয়ার আলাপ-আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) চার সদস্যের একটি দল আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছে। তারা সন্ধ্যার পর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ঢাকায় গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

ডিবির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহিদুর রহমানের কক্ষে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য খুনের রহস্য উন্মোচনে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আমরা তথ্য বিনিময় করছি। তদন্তে তারা এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পেয়েছে, সেগুলো নিয়ে আটক তিনজনের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরাও তাদের তদন্তে পাওয়া বিষয়গুলো সম্পর্কে জানছি।’

আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আমানুল্লাহ (প্রকৃত নাম শিমুল ভূঁইয়া), শিলাস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া। আইবির কর্মকর্তারা তাঁদের চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়ে এক পরিচিতজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন ওই বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর নিখোঁজের ঘটনায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়ে কলকাতার পুলিশ তথ্য পায়, ওই ফ্ল্যাটে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি রহমান নামের দুই ব্যক্তিও ছিলেন। এই তথ্যের সূত্র ধরে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ভানভীর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তানভীর আমানুল্লাহ পরিচয় দেওয়া শিমুল বিশ্বাসের ভাতিজা। তাঁরা তিনজন কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেছেন বলে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।