ভূতের গলিতে নিহত আট বছর বয়সী গৃহকর্মীর সারা শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান ও বাঁ চোখে আঘাতের চিহ্ন। হাত-পায়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গৃহকর্মীর সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গৃহকর্ত্রী সাথী পারভিনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গৃহকর্মীর সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। গৃহকর্মীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পলাতক গৃহকর্ত্রীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শনিবার দুপুরে কলাবাগানের ভূতের গলির সাথী পারভীনের ভাড়া বাসা থেকে ওই শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভূতের গলির একটি বাসায় গৃহকর্মীর লাশ পড়ে আছে, এমন সংবাদ পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। বাসার দরজা বন্ধ দেখে একজন তালা–চাবির মিস্ত্রিকে ডেকে নতুন চাবি বানিয়ে তালা খুলে ঘরের ভেতরে ঢোকে পুলিশ। এ সময় খাটের ওপর শিশুটির লাশ দেখতে পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাবুল হোসেন আরও বলেন, ওই বাসার মালিক সাথী পারভীন। তিনি পলাতক। শিশুটিকে শ্বাস রোধে হত্যার পর তিনি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।