‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ নামের বিউটি পারলারের ধানমন্ডি শাখায় গোপনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী এক নারীর মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত পারলারটিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। গতকাল বুধবার ধানমন্ডি মডেল থানায় পুলিশের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার তিনজনকে গতকালই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন পারলারের মহাব্যবস্থাপক তসলিম আরিফ ওরফে ইলিয়াস (৫২), প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক ইমাদুল হাসান (৫৩) ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক এম এইচ জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
মামলার অপর দুই আসামি পারলারের মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) ও ব্রাঞ্চ মালিক ফারনাজ আলম (৩২)। তাঁরা পলাতক।
আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ধানমন্ডির এই পারলারে সেবা নেওয়া অনেক নারীর ভিডিও গোপন ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারে (ডিভিআর) পাওয়া গেছে। বেআইনি পন্থায় এসব ভিডিও ধারণ, সংরক্ষণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তাঁরা ছয় মাস আগে পারলারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। কোনো ভিডিও ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না, তা জানতে পুলিশি তদন্ত চলছে।
মামলাটির বাদী ধানমন্ডি আদর্শ পুলিশ ফাঁড়ির (ধানমন্ডি মডেল থানাভুক্ত) উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযানকালে পারলারটি থেকে গোপন ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের আলামত জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে পারলারে সেবা নিতে আসা নারীদের আপত্তিকর-স্পর্শকাতর ভিডিও অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ-সংরক্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, পারলারটির বিষয়ে ভুক্তভোগী এক নারী মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। পরে পুলিশ পারলারটিতে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এ কারণে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।