এবার কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন বাবুলের

স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার
ফাইল ছবি

স্ত্রী খুনের মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার এবার নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।

আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন নেসার আদালতে আবেদনটি করা হয়। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদনটি করেন বাবুল।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনটির বিষয়ে আদেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ রেখেছেন আদালত।

বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেল বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন। সেখানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন বাবুল। আবেদনটি করার পর যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাবুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত শনিবার ফেনী মডেল থানার ওসি ফেনী কারাগারে গিয়ে বাবুলের সেলে তল্লাশি চালান, যা কারাবিধিতে নেই। এখন বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কারাগারে বাবুলের নিরাপত্তা জোরদার করতে ফেনীর জেল সুপারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদনে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজামুদ্দিন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার তিনি ফেনী কারাগারে গিয়েছিলেন কাজে। কিন্তু তিনি বাবুল বা কোনো বন্দীর কক্ষে যাননি, তল্লাশি চালাননি।

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ বৃহস্পতিবার ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন বাবুল। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন নেসার আদালতে আবেদনটি করা হয়। আবেদনটির বিষয়ে আদেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ রেখেছেন আদালত।

যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক এ কে মহিউদ্দিন, সন্তোষ চাকমা ও এনায়েত কবির।

আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুলকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়।
হেফাজতে বাবুলকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় তিনি প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে গত বছরের মে মাসে মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আর বাবুলের করা মামলাটি সচল থাকে। গত বছরের মে মাসে বাবুলকে স্ত্রী খুনের মামলা আসামি করা হয়।

মামলায় বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে পিবিআই। চলতি মাসেই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে পিবিআইয়ের।