রাজধানীর দক্ষিণ মান্ডায় মাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে ওই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ওই নারীর নাম মমতাজ বেগম (৫০)। পুলিশ বলছে, তাঁকে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুরা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ মমতাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তাঁর নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ছাড়া তাঁর গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মমতাজের মাথায় প্রথমে আঘাত করা হয়। এরপর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে বলে জানান তিনি।
মমতাজ বেগম পরিবারসহ দক্ষিণ মান্ডায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর তিন ছেলে। বড় ছেলে সোহাগের স্ত্রী ডলি বেগম বলেন, তাঁরা বাড্ডায় থাকেন। সকালে খবর পান শাশুড়ির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে শোনেন, ছোট দেবর শাশুড়িকে খুন করেছে।
ওই বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মমতাজের ছোট ছেলে এক বন্ধুর মোটরসাইকেল মেরামত করার জন্য মায়ের কাছে সাড়ে তিন হাজার টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভারী বস্তু দিয়ে মমতাজের মাথায় আঘাত করলে তিনি চেতনা হারান। এ সময় ছেলে মমতাজের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরলে তাঁর মৃত্যু হয়।
মমতাজের স্বামী আবদুল জলিল হাওলাদার। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী। বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন আরও জানান, ঘটনার সময় বাসায় মমতাজ ও তাঁর ওই কিশোর ছেলে ছাড়া কেউ ছিল না।