মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪: র‍্যাব

মানব পাচারের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলন
ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচারের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল রোববার ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চার যুবক মানব পাচারের শিকার হয়েছিলেন। তাঁরা দেশে ফিরে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে র‍্যাবে অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তোফায়েল আহমেদ (২৮), মো. আক্তার হোসেন (৩৮), মো. আনিছুর রহমান (৩৬) ও মো. রাসেল (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, তোফায়েল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেকার যুবকদের বিদেশে যেতে প্রলুব্ধ করতেন। তিনি ও তাঁর সহযোগীরা বেকার যুবকদের দেশের বাইরে পাচার করতেন।

র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী চার যুবক। তাঁদের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁরা বলেন, তাঁদের দুবাইয়ে পাচার করা হয়েছিল। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। এক পর্যায়ে তাঁরা পালাতে সক্ষম হন। পালানোর পর তাঁরা ফুটপাত, পার্ক ও সমুদ্রতীরে না খেয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ছিলেন। পরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে দুবাইয়ে থাকা কয়েক বাংলাদেশির সহায়তায় দেশে ফিরে আসেন।

এক ভুক্তভোগী প্রথম আলোকে বলেন, পরিচিত একজনের মাধ্যমে তোফায়েলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তিনিসহ আরও কয়েকজনকে দুবাই পাঠানোর কথা বলেন তোফায়েল। তিনি একেকজনের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে নেন। তিনি তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি সবাইকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যান। বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পাসপোর্ট দেন। তাঁরা দুবাই যান। দুবাইয়ে বিমানবন্দর থেকে তাঁদের একজন নিয়ে যান। তাঁদের একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তাঁদের কাছ থেকে হাতখরচের টাকা পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়। চাকরি চাইলে তাঁদের নির্যাতন করা হয়। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে তাঁদের নেওয়ার সময় তাঁরা পালান। পরে ফুটপাত, পার্ক ও সমুদ্রতীরে তাঁরা অবস্থান করেন। না খেয়ে থাকেন। বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তাঁরা দুবাই থেকে ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসেন।