বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশ হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা রিমান্ডে

গ্রেপ্তার আমান উল্লাহ আমান
ছবি: সিটিটিসি ইউনিটের সৌজন্যে

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের সময় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হককে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

এর আগে পুলিশ আমান উল্লাহ আমানকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। পরে আদালত শুনানি নিয়ে তা মঞ্জুর করেন।
আমানকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সিটিটিসি ইউনিট বলেছে, আমান উল্লাহ আমান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ছিলেন।

২৮ অক্টোবর সমাবেশকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালনকালে রাজধানীর ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় হামলায় নিহত হন পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২)। তিনি কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর পল্টন থানায় হত্যা মামলা করে পুলিশ।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল, পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলা করতে হবে। হামলার মাধ্যমে পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে হবে। এক বা একাধিক পুলিশ সদস্য হত্যার মাধ্যমে তাঁরা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। একটি নতুন ইস্যু সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে মহাসমাবেশের দিন আমান উল্লাহ তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে কনস্টেবল আমিরুলকে হত্যা করেন।