মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও নবোদয় হাউজিং এলাকায় যৌথ অভিযানে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও নবোদয় হাউজিং এলাকায় যৌথ অভিযানে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও নবোদয় হাউজিং এলাকায় যৌথ অভিযানে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেড, র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে সেনাবাহিনী, র‍্যাব  ও পুলিশের একাধিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনতে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়। এই অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কয়েকজন

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় ১৫২ জন অপরাধী, ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭১টি গোলাবারুদ, ১৭২ ধরনের বিভিন্ন দেশি–বিদেশি অস্ত্র, ১টি গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ নেশাজাত দ্রব্য উদ্ধার হয়। সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি ও  খুনখারাবি বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসমুক্ত মোহাম্মদপুরের দাবিতে এলাকাবাসী গতকাল শনিবার বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এমন অবস্থার জন্য তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অগ্রগতির জন্য তাঁরা পুলিশকে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন। এরপর রাতেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।