কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তিরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও শিশু অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ল্যাদা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির-সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় তাদের তিনজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। অপহৃত এক শিশুকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে ।
নিহত তিন ব্যক্তি হলেন শামসুল আলম (৩৫), নুর আলম (২১) ও মো. হাবিব (২০)। তাঁরা সবাই রোহিঙ্গা।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, কয়েক দিন আগে ল্যাদা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা আবু সিদ্দিকের শিশুসন্তান রমজান আলীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। পরে তারা মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এই ঘটনায় পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন পুলিশের তিন কনস্টেবল। অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তিনটি দেশীয় বন্দুক (এলজি), আটটি কার্তুজ, ১১টি কার্তুজের খালি খোসা।
ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, অপহরণকারী চক্রের গুলিবিদ্ধ তিন সদস্য ও পুলিশের আহত তিন কনস্টেবলকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পুলিশের আহত তিন সদস্য হলেন কনস্টেবল সৈকত বড়ুয়া, আরশাদুল হক ও মো. সেকান্দর।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজারে পাঠানো হয়।
ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, অপহরণকারী চক্রের গুলিবিদ্ধ তিন সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
পুলিশ জানায়, নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।