পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৬ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম হাফিজুর রহমান ওরফে তিতাস (৩৮)। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের চাঁনমারি ঝাউদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, হাফিজুর রহমান তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। ডাকাত দলের সরদার ছিলেন তিনি।
জহুরুল ইসলামের দাবি, পাবনা, ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া ও নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় হাফিজুর রহমানের নামে চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা আছে। আদালত থেকে মালামাল জব্দের পরোয়ানা আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সড়কে মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ যানবাহন ছিনতাই ও ডাকাতি করা হাফিজুর রহমানের প্রধান কাজ ছিল। সম্প্রতি ঈশ্বরদীতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য আছে পুলিশের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চাঁনমারি মোড় থেকে হাফিজুরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন—স্বীকার করেন তিনি। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর দলের অন্য সদস্যদের আটক করতে বের হয় পুলিশ। চাঁনমারি মোড়ের পাশে একটি আখখেতের সামনে পৌঁছানো মাত্র পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে হাফিজুরের সহযোগীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১৬টি গুলি ছোড়ে। দৌড়ে পালানোর সময় হাফিজুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয় পুলিশ সদস্য। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, দুটি গুলি ও ছয়টি গুলির খোসা উদ্ধার করে।