চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কলম আলী। চার মাস আগে তাঁকে খুন করে লাশ গুমের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলা করা হয় স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালকের বিরুদ্ধে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, কলম আদৌ খুন হননি। সত্যি তা-ই। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কলম আলী ১০ বছর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সালমা খাতুনকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই সন্তান আছে। পরে কলম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এতে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আত্মীয়স্বজনের চাপে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন। কলম গত ২৬ জুন ঝিনাইদহের দুর্গাপুরে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। সেখান থেকে নিরুদ্দেশ হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ৯ জুলাই চুয়াডাঙ্গার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ছেলেকে কৌশলে অপহরণের পর খুন করে লাশ গুমের অভিযোগে আরজি দেন। এতে কলমের স্ত্রী সালমা খাতুন এবং তাঁর বাবা আবদুল মোতালেব, মা রুকিয়া বেগম ও ১২ বছরের ভাই তানজিল বিশ্বাসকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে সদর থানার পুলিশ ১৭ সেপ্টেম্বর আরজিটি এফআইআরভুক্ত (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) করে। এরপর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম তদন্ত শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, কলম আলী খুন হননি। তিনি তাঁর তালাক দেওয়া সেই স্ত্রীকে আবার বিয়ে করেছেন। পরে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।