মালিবাগ মোড়ে গতকাল রোববার রাতে বিস্ফোরিত ককটেলটি বেশ শক্তিশালী ছিল। এটি আগে থেকেই পুলিশের ভ্যানের পেছনে রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
গতকাল পুলিশের একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার, রিকশাচালক লাল মিয়াসহ তিনজন আহত হন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাল মিয়ার শারীরিক অবস্থা দেখার পর সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য এমন ঘটনা ঘটছে। এতে জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কাউন্টার টেররিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কী ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেররিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। হামলার লক্ষ্য পুলিশ না অন্য কেউ তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়ার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। গতরাতে তাঁর মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। তবে অবস্থা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁর চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হচ্ছে।
মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন