ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গতকাল শনিবার রাতে ভাড়াটিয়াকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। বাসাভাড়ার এক হাজার টাকার জন্য তিনি এমনটা করেছেন বলে ভাড়াটিয়ার অভিযোগ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘরে ফিরতে পারেন ভাড়াটিয়া।
ভাড়াটিয়া দম্পতি হলেন আবদুল হামিদ ও নিশা আক্তার। তাঁরা আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় জনৈক সবুজ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। নিশা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁর স্বামী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
নিশা বলেন, তাঁর বেতন ৮ হাজার টাকা। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তিনি অর্ধেক টাকা বেতন পেয়েছেন। এদিকে তাঁর স্বামীর কাজ নেই। তাই বাসাভাড়ার ২ হাজার টাকার মধ্যে ১ হাজার টাকা দিয়ে বাকিটা পরের মাসে দেওয়ার কথা জানান তাঁরা। কিন্তু বাসার মালিক সবুজ মিয়া তা মানতে নারাজ। বাকি টাকার জন্য গতকাল রাত ১০টার দিকে তাদের গালিগালাজ করেন তিনি। পরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে তাঁদের বাসা থেকে বের করে দেন বাড়িওয়ালা। আরেক ভাড়াটিয়া কেয়া আক্তারকেও বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নিশা আক্তারের অভিযোগ, তাঁদের বের করে দেওয়ার পর তাঁরা প্রতিবেশীদের সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু কেউ তাঁদের সহায়তা করেননি। নিশার স্বামী আবদুল হামিদ বলেন, তাঁর স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থায় বাড়িওয়ালা এমন অমানবিক আচরণ করলেন।
এ বিষয়ে জানতে সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাড়া দিতে না পারায় তাঁদের বের করে দিয়েছি। এ রকম না করলে ভাড়াটিয়ারা সুযোগ পেয়ে যাবেন।’
পরে বিষয়টি আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদকে জানানো হয়। তিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পাঠান। রাত ১২টার দিকে আজাহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিক সবুজ মিয়ার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ঘরে তুলে দেন।
এসআই আজাহারুল ইসলাম বলেন, বাড়ির মালিক তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। এ জন্য তিনি অনুতপ্ত। এ ছাড়া নিশা ও কেয়ার তিন মাসের ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন তিনি।