লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আজ শনিবার সকালে পাঁচজন মিলে এক নারীকে নিয়ে আসেন। জানান, এই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, ওই নারী ততক্ষণে মৃত। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাই হয়ে যান সঙ্গে আসা ওই নারীর স্বামীসহ লোকজন।
পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। নিহত এই নারীর নাম জোছনা বেগম (২৪)। তাঁর স্বামীর নাম সুজন।
সুজন সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকার মমিন উল্লাহ পাটওয়ারীর ছেলে। জোছনা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার মো. বাহারের মেয়ে। ছয় বছর আগে জোছনা ও সুজনের বিয়ে হয়।
জোছনার চাচাতো ভাই জাকির হোসেন ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছেন। ঘটনার পরপরই সুজন ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান।
জোছনার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিয়ের পরও সুজন একাধিক পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এসব নিয়ে বাধা দিলে বিভিন্ন সময় তিনি জোছনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করে। তবে রাতের কোনো এক সময়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আজ সকালে লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বলেন, জোছনার গলায় একটি দাগ রয়েছে। লাশ এখনো হাসপাতালের মর্গে আছে। পুলিশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হবে।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, সকাল সাতটার দিকে মৃত অবস্থায় জোছনাকে হাসপাতালের নিয়ে আসা হয়। পরে হাসপাতালে মরদেহ রেখে তাঁর স্বামী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।