স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি

দুদক
দুদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । আজ বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।

দুদক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ ও স্বেচ্ছাচারী ২৩ কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছে দুদক। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন কার্যালয়ে কিছু দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতির শক্তিশালী বলয় তৈরি হয়েছে। এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুদকে তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে, যা দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। এমন অবস্থায় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

এই ২৩ কর্মকর্তা হলেন—স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হক, কম্পিউটার অপারেটর আজমল খান, ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক আবদুল কুদ্দুস, সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা গাউস আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদ, অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর নেছার আহমেদ চৌধুরী, খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মো. মাসুম, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান, উচ্চমান সহকারী জুয়েল, রংপুর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবজাল ও তাঁর স্ত্রী রুবিনার হাজার কোটি টাকার সম্পদ পাওয়ার পরপরই এঁদের তালিকা তৈরি করা হয়। আবজালকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে ।