খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের দেওয়া অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দার সনদ জালিয়াতি করার দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আবু বকর সিদ্দিক (২০) । তাঁকে সনদ জালিয়াতি করতে সহযোগিতা করেছিলেন মো. ফারুক হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি।
পুলিশের এজাহার সূত্রে জানা যায়, মানিকছড়ি উপজেলার ২১১ নম্বর ডাইনছড়ি মৌজার বাসিন্দা। তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খাগড়াছড়ির স্থায়ী বাসিন্দা অ-উপজাতি কোটায় ফরেস্ট্রি বিভাগে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অ-উপজাতী স্থায়ী বাসিন্দাদের আলাদা কোটা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ে অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দা সনদ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীর সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করলে অ-উপজাতীয় সনদটি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠায়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচাইকালে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে জমাকৃত ওই ছাত্রের সনদটি তাঁর নামে নয়। সেটি মাটিরাঙ্গা উপজেলার তৈলাফাং গ্রামের নুর আলম ও নাসিমা আক্তারের ছেলে মো. শাহ আলমের নামে। মো. শাহ আলমের সনদটি জালিয়াতি করে মো. আবু বকর সিদ্দিক নিজের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেন।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মানিকছড়ি থানা-পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. আবু বকর সিদ্দিককে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সনদ জালিয়াতির সহায়তাকারী মো. ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছি, অনেকে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এ ছাড়া বিশেষ করে জমি রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে এ কাজ বেশি হয়ে আসছে। যেহেতু একজন ধরা পড়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে সবাই ধরা পড়বে।’