ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রী ও স্ত্রীর ভাগনিকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নে খারাকান্দি গ্রামে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বামী রফিকুল ইসলাম আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন স্ত্রীর পরিবার।
নিহত দুজন হলেন সুরমা বেগম (২৫) ও তাঁর বড় বোনের মেয়ে খাদিজা আক্তার (৮)। মাত্র ছয় মাস আগে বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সুরমার বিয়ে হয়। দুজনেরই এটা চতুর্থ বিয়ে।
সুরমার পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর সুরমা ও রফিকুল লালমোহনের কর্তারহাট এলাকায় থাকতেন। বিয়ের পর থেকে তাঁদের বনিবনা হচ্ছিল না। এ ব্যাপারে চারবার স্থানীয়ভাবে সালিসও হয়। ঘটনার ১০ দিন আগে স্বামীর সঙ্গে কলহের জের ধরে খারাকান্দি গ্রামে বড় বোন আঙ্কুরি বেগমের (২৮) বাসায় ওঠেন সুরমা। ঘটনার দিন রাতে এক বিছানায় বোন ও ভাগনির সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ওই সময় রফিকুল সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে তাঁদের গায়ে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই সুরমার মৃত্যু হয়। আগুনে শুধু বিছানা পুড়ে গেছে। দগ্ধ অবস্থায় বোন ও ভাগনিকে প্রথমে ভোলা, পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ বেলা আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাগনি খাদিজা মারা যায়। বোন আঙ্কুরিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আঙ্কুরি বেগম ও খাদিজার শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে যায়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সুরমার স্বামী রফিকুল পলাতক।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।