রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমপড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। কলাবাগান থানায় করা ওই মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেছেন। মেয়েটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো আজ বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেলে পুলিশ বাকি তিনজনকেও গ্রেপ্তার দেখাবে।
নিউমার্কেট অঞ্চলের পুলিশ বলেছে, গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তখন নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে কলাবাগান থানার পুলিশ আনোয়ার খান হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে তরুণটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাঁদেরও আটক করে। নিহত ছাত্রী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শহরের নামী স্কুলের শিক্ষার্থী।
পুলিশের এসি আবুল হাসান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর ইফতেফার দিহান দাবি করেন, মেয়েটি তাঁর পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই ঢাকার বাইরে থাকার সুযোগে তাকে ডলফিন গলির তাঁদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণের বাবা সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার। ভবনটি এক ইউনিটের। তরুণের বাবা দোতলার ফ্ল্যাটটির মালিক।
মেয়েটির মা বলেন, তিনি হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। দেখা যায়, তার কাপড়চোপড়ে রক্তমাখা।
স্কুলছাত্রীটি দুই ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে বড়। তার বাবা ব্যবসায়ী। তাদের বাসা রাজধানীর সোবহানবাগে।