ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রীর স্বজন

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের সময় গণপিটুনিতে নিহত ১

ছুরিকাঘাতে নিহত হাসানুজ্জামানের বোন ও স্ত্রীর আহাজারি। ছবি: প্রথম আলো
ছুরিকাঘাতে নিহত হাসানুজ্জামানের বোন ও স্ত্রীর আহাজারি। ছবি: প্রথম আলো

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার সময় আকবর আলী (৩৬) নামের এক ব্যক্তি গ্রামবাসীর পিটুনিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও গ্রামবাসী বলছেন, অপহরণের সময় বাধা দেওয়ায় আকবর স্কুলছাত্রী ও তার মামা হাসানুজ্জামানকে (২৫) ছুরিকাঘাত করেন। পরে হাসানুজ্জামান মারা যান। আকবরের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্রীর নানা হামিদুল ইসলাম (৫৫)।

আজ শনিবার ভোররাতে সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনিতে নিহত আকবরের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামে। মোমিনপুর ইউনিয়নের এক গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থেকে তিনি সবজির ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও নিহত হাসানুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, স্কুলছাত্রী তার নানাবাড়িতে থাকে। আকবর বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্কুলছাত্রী চিৎকার ও কান্নাকাটি করে। আকবর স্কুলছাত্রীর বাঁ হাতে ছুরিকাঘাত করেন। স্কুলছাত্রীর মামা হাসানুজ্জামান ছুটে এসে বাধা দেন। আকবর তাঁকেও ছুরিকাঘাত করেন। স্কুলছাত্রীর নানা বাধা দিলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করেন আকবর। এ সময় আশপাশের লোকজন আকবরকে ধরে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

স্কুলছাত্রীসহ আহত তিনজনকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাসানুজ্জামান মারা যান। আহত হামিদুলকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত দুজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ও পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু এহসান মোহাম্মদ ওয়াহেদ জানান, হামিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।