হালিশহরে পোড়া লাশের পরিচয় নিয়ে রহস্য থেকেই গেল। আসামি গ্রেপ্তারের পর জবানবন্দিতে লাশের পরিচয় জানান। কিন্তু যে ব্যক্তিকে পোড়ানো হয়েছে বলেছেন তিনি এখনো জীবিত। এ জন্য আসামি জীবন চক্রবর্তীকে আবারও রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২১ এপ্রিল রাতে নগরের হালিশহরে ফইল্যাতলি খাল পাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আগুনে তার শরীরের ৯০ ভাগ অংশ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় হালিশহর থানায় মামলা করে পুলিশ। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে হস্তান্তর করা হয়।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জীবন চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করলে গত ২৬ এপ্রিল তিনি জবানবন্দি দেন। এতে স্বীকার করেন, পুড়ে যাওয়া লাশের নাম দিলীপ আচার্য। গাঁজা সেবনের জন্য সহকর্মীর (দিলীপ) কাছ থেকে ৫০ টাকা ধার নেন দুজন।
ধারের টাকা না দেওয়ায় ওই সহকর্মী তাঁদের চড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করেন সহকর্মীকে।
এতেই ক্ষান্ত হননি, প্রমাণ মুছে দিতে লাশ পুড়িয়েও দেন। কিন্তু পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, দিলীপ বেঁচে আছেন। তাহলে লাশটি কার?
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামি জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হালিশহর থানার পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।