সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও দুই আসামির ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারেকুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাদের সেখান থেকে আবার পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) ল্যাবে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে শাহ রনি, মো. রাজন ও আইনুদ্দিনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে গ্রেপ্তার ছয়জনের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামির নমুনা শনিবার নেওয়া হলো।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছাত্রলীগের একটি পক্ষের কর্মী হিসেবে পরিচিত সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে শাহ রনি ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে এজাহারভুক্ত আসামি করে মামলা হয়। মামলার এজাহারের বাইরে আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত এই মামলায় পুলিশ ও র্যাব মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটজনকেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।