সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপের আরও ১ দিনের রিমান্ড

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে দুপুর দেড়টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আড়াইটার দিকে তাঁকে কক্সবাজারে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

কক্সবাজার আদালতে সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। এটি তাঁর চতুর্থ দফার রিমান্ড।

মামলার তদন্ত সংস্থা কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রদীপ কুমার দাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন না। পরে তাঁকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

প্রদীপ কুমার দাশকে দুপুর দেড়টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আড়াইটার দিকে তাঁকে কক্সবাজারে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে সকালে এই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে র‌্যাবের গাড়িতে করে তাঁকে কক্সবাজার আদালতে নেওয়া হয়।

৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করা হয়। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে তাদের আরেক সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। সিফাত ও শিপ্রা দুজনই পর জামিনে আছেন এখন।

র্যাব সূত্র জানায়, সিনহা হত্যা মামলার মোট আসামি ১৩ জন। তাঁরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

রিমান্ড শেষে এপিবিএনের তিন সদস্য কয়েক দিন আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা তিনজন জেলা কারাগারে আছেন। ঘটনার সময় এপিবিএনের তিন সদস্য শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন। সিনহা হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে ২৮ আগস্ট তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েছিল র‌্যাব।