মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লোকমান হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় ওই নারীকে বাড়িতে একা রেখে পরিবারের সব সদস্য স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে যান। রাত একটার দিকে বাড়িতে ফেরার সময় লোকমানকে পালিয়ে যেতে দেখেন তাঁরা। পরে বাড়িতে ফিরে ওই নারীর গলাকাটা লাশ দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মজিদকে জানানো হয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতেই লোকমানকে আটক করা হয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
নিহত নারীর ভাবি অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের বেড়া ভেঙে ঢুকে তাঁর ননদকে ধর্ষণ করেন লোকমান। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন।
সিঙ্গাইর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে লোকমানকে থানায় নেওয়া হয়। এ সময় নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর সাত্তার মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লোকমান ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহত নারীর ভাবি বাদী হয়ে লোকমানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।