ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাসেল শেখ (২৪) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯ জন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল আটটার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড় বাহিরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল শেখ ওই গ্রামের খালেক শেখের ছেলে। আহত ব্যক্তিদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় বাহিরদিয়া গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রামকান্তপুর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মুঞ্জুর মোল্লার সঙ্গে একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লুৎফর মোল্লার বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকালে বাহিরদিয়া গ্রামের একটি চায়ের দোকানে কার দলে কত সমর্থক আছে, এ নিয়ে মুঞ্জুর মোল্লার সমর্থকদের সঙ্গে লুৎফর মোল্লার সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুই পক্ষের কয়েক শ সমর্থক দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, সড়কি, ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এর মধ্যে মুঞ্জুর মোল্লার সমর্থক রাসেল শেখকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আহত অন্যদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাশের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সংঘর্ষের খবর শুনে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১টি গুলি এবং দুটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, সংঘর্ষে আহত রাসেল শেখকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।