ঢাকার সাভারে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে যাওয়ার পথে ছিনিয়ে নিয়ে স্কুলছাত্রী নীলা রায়কে (১৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনি মহল্লা থেকে সেলিম পালোয়ান (২৮) নামের যুবককে আটক করা হয়। বুধবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই যুবককে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
সেলিম পরিবারের সঙ্গে ব্যাংক কলোনিতে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমানের (২০) পাশের বাসায় থাকেন। পুলিশ জানায়, মিজানের সঙ্গে সেলিমের ঘনিষ্ঠতা আছে। নীলাকে হত্যার আগে মুঠোফোনে মিজানের সঙ্গে সেলিম পালোয়ানের অনেকবার কথা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নীলা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে সেলিম পালোয়ানকে আটক করা হয়েছে। মিজানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল কাজ করছে। খুব দ্রুতই তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নীলার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে হত্যা করেন মিজান। তিনি একই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিনি। এর আগে একবার টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি।
রোববার রাত আটটার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে বখাটে মিজানুর ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার রাতে সাভার থানায় মিজান, তাঁর বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের তিন দিনেও মামলার মূল আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।