নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর বিজয়ের পর এবার নৌকার প্রার্থীর কর্মী ও দয়রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে হামলা ও নির্যাতনের শিকার ৯৫ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর তালিকা তৈরি করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বাগাতিপাড়া থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে দয়রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস স্থানীয় চানপুর বিএম কলেজের বিতর্কিত অধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগ লাভের অভিযোগ তোলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওই অধ্যক্ষকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী অহিদুল ইসলামের (সাংসদ শহিদুল ইসলামের সহোদর) আনারস প্রতীকের পক্ষ নেন তিনি। অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস নৌকার প্রার্থী সেকেন্দার রহমানের পক্ষ নেন।
নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় এবং মকবুল হোসেন হাইকোর্ট কর্তৃক তাঁর অপসারণের বিরুদ্বে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ পাওয়ায় গত রোববার রাতে কলেজে বনভোজনের আয়োজন করেন। বনভোজনে খাওয়াদাওয়া শেষে রাত ১২টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন তরুণ দয়রামপুরে এসে আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে হামলা চালান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আবদুল কুদ্দুস জানান, নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় ক্ষমতা জাহির করতে মকবুল হোসেন আনারসের কর্মীদের দিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন।
তবে মকবুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এখানে নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল লেগেই আছে। সে কারণেও হামলা হতে পারে।’