নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ইউনিয়নের টি চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কে তাঁকে কোপানো হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত বদর খন্দকার লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য। তাঁর পরিবারের ধারণা, গ্রামে আধিপত্য বিস্তরের জের ধরে এই হামলা হতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদর খন্দকার মোটরসাইকেলে করে তাঁর ইটভাটা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে টি চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওত পেতে থাকা চারজন তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়েন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক খায়ের মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমনা খানম বলেন, ধারালো অস্ত্রের কোপে ওই ব্যক্তির বাঁ হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডান হাতের কবজি ও দুই পায়েই হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁকে অচেতন অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, মুঠোফোন, একটি খালি কালো ব্যাগ ও দুটি স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।