সাতক্ষীরা শহরতলির বাঁকাল ইসলামপুর চিংড়ি ঘেরের পাশ থেকে পুলিশ মুনসুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে মুনসুর রহমান নিহত হয়েছেন। মুনসুরের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
শ্যামনগরে চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুনসুর দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। গত সোমবার একটি মামলায় সাতক্ষীরা আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। আদালত থেকে বের হলে তাঁকে সাদাপোশাকের কয়েকজন তুলে নিয়ে যান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে পুলিশ খবর পায় বাঁকাল ইসলামপুর এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। লাশের পাশে একটি ওয়ান শুটারগান ও ৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট পড়েছিল। পরে পুলিশ নিহতের পরিচয় জানতে পারে।
ওসি আরও বলেন, নিহত মুনসুরের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার বিভিন্ন থানায় ১৪টি মাদকের মামলা রয়েছে। পুলিশের খাতায় মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল ১ নম্বরে। এর আগে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে মুনসুর রহমান নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।