বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের হস্তক্ষেপে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
এ নিয়ে চলতি মাসে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন মিলে ১৫টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পেরেছে।
সাতক্ষীরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমান জানান, তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর আজ দুপুরে বিয়ে ছিল। এ খবর পাওয়ার পর তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। বেলা আড়াইটার দিকে মাগুরা ইউপির সদস্য আবদুর রাজ্জাক, ওসিসি প্রোগ্রাম অফিসার আবদুল হাই সিদ্দিক, ওই এলাকার গোলাম রহমান ও আশরাফ হোসেনকে নিয়ে তিনি ছাত্রীটির বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, বিয়ের তোড়জোড় চলছে। তাঁরা ছাত্রীটির বাবার কাছে তাঁর মেয়ের জন্মসনদ দেখতে চান। জন্মসনদ অনুযায়ী মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। এ সময় বরপক্ষ কৌশলে পালিয়ে যায়।
তাঁরা ছাত্রীর মা–বাবাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীর মা ও বাবা সবকিছু শুনে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন।
সাকিবুর রহমান বলেন, চলতি মাসের ১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, ইউপির সহযোগিতায় ১৫ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। এর মধ্যে তালার একটি বিয়েতে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কনের বাবা ও বরের ভগ্নিপতিকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দাদা ও ফুফুকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
সাকিবুর রহমান বলেন, তাঁরা অল্পসংখ্যক বাল্যবিবাহের খবর আগে থেকে জানতে পারেন। ওই বিয়েগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তাঁদের জানার বাইরে জেলায় প্রতিদিন কয়েকটি করে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।