সাতক্ষীরা শহরের একটি ক্লিনিকের অভ্যর্থনাকারী তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন; যদিও মেডিকেল ছাত্র হিসেবে তাঁর নিয়মমাফিক ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন হয়নি।
গ্রেপ্তার করা যুবকের নাম রিয়াজুল ইসলাম (২৬)। তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায়।
ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ওই তরুণী সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ শনিবার প্রথম আলোক দেওয়া ওই তরুণীর ভাষ্য, তিনি শহরের শহীদ কাজল সরণির শিমুল ক্লিনিকে ১০ ফেব্রুয়ারি অভ্যর্থনাকারী হিসেবে চাকরি নেন। ওই ক্লিনিকে রোগী দেখতেন রিয়াজুল ইসলাম। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে বিয়ে করার কথা বললে রিয়াজুল টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।
ওই তরুণীর তথ্যমতে, বিষয়টি তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে ওই চিকিৎসককে জানালে গত বুধবার তাঁকে কমল পানীয়ের সঙ্গে কিছু খাওয়ালে তিনি স্বাভাবিকতা হারান। এই সুযোগে চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং মেরে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে ক্লিনিকের পাঁচতলায় নিয়ে দুই দিন তাঁকে আটকে রাখা হয়। দুই দিন কোনো খোঁজখবর না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেন। গতকাল দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ ক্লিনিকের একটি কক্ষ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
গ্রেপ্তার করা ইন্টার্ন চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলাম সাতক্ষীরা থানার হাজতখানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। মেয়েটি সঙ্গে আমি সরাসরি ও মুঠোফোনে কথা বলতাম। এর বেশি কিছু নয়।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তরুণী বাদী হয়ে রিয়াজুল ইসলাম, ওই ক্লিনিক কর্মচারী আবদুল্লাহ-আল-মামুন ও ক্লিনিকের মালিক সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল এলাকার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর মধ্যে চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা হাসপাতালের চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হবে দুপুরে।