কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনের সাংসদ ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিমা আহমাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা এক সপ্তাহের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে ইউএনও হোমনা থেকে কুমিল্লায় চলে আসেন।
রোববার রাতে হোমনা উপজেলা হকার্স লীগ সভাপতি মো. মমিন হোমনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুজিব শতবর্ষের একটি ব্যানার টানাতে গেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা বেগমের গাড়িচালক মো. শাহজালাল বাধা দেন। মমিন এ ঘটনায় ইউএনও তাপ্তি চাকমার কাছে অভিযোগ দেন। পরে ইউএনও দুজনকে ডেকে এনে বিষয়টি মিটমাট করে দেন। তা ছাড়া শাহজালাল হকার্স লীগের সভাপতি মমিনের কাছে ক্ষমা চান। এরপরও সাংসদ সেলিমা আহমাদের অনুসারী কয়েকজন নেতা–কর্মী মঙ্গলবার সকালে ইউএনওর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন। সাংসদ বেলা একটার দিকে উপজেলা সদরে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনওকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গতকাল সন্ধ্যায় জানতে চাইলে ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহের ছুটিতে এখন কুমিল্লায় আছি।’
জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, একেবারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মুজিব শতবর্ষের ব্যানারের বিষয়টি একটি অছিলা মাত্র। মূলত সাংসদ সেলিমা আহমাদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেহানা বেগমকে সহ্য করতে পারছেন না। কারণ, রেহানা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল মজিদের সহধর্মিণী।
সাংসদ সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির লোককে গাড়িচালক রেখেছেন। ওই গাড়িচালক আমার হকার্স লীগের কর্মীকে মারধর করেছেন। ব্যানার টানাতে দেননি। ইউএনও কোনো সাজা দেননি তাঁকে। তাই আমরা আর এই ইউএনওকে চাই না।’
জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, ‘ইউএনও ছুটিতে আছেন। আমরা তাঁকে প্রত্যাহার করিনি। প্রত্যাহার করতে যাব কেন?’