জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদকের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
দুদকের করা এই মামলায় গত বুধবার জামিন পান সম্রাট। এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁর জামিনের কাগজপত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়। এরপরই সম্রাটের কেবিনের সামনে থেকে কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি কাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসবে।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে র্যাবের অভিযানে অবৈধভাবে ক্যাসিনো কারবারের বিষয়টি সামনে আসে। ওই ক্লাব পরিচালনা করতেন যুবলীগের সে সময়ের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তিনি ছিলেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠজন। পরে বেরিয়ে আসে ঢাকায় ক্যাসিনো কারবারে হাত রয়েছে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের।
এরপর ১৭ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী আরেক যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।
দুজনকে ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
পরে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে মামলা করে। আর ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
গত ১০ এপ্রিল অর্থ পাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকার পৃথক দুটি আদালত থেকে জামিন পান সম্রাট। পরদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাঁকে জামিন দেন আদালত।