কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিনের গভীর সমুদ্র থেকে ২ লাখ ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের আট নাগরিককে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার এই চালান পাচারের সময় মাছ ধরার একটি ট্রলারও জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ কর্মকর্তা (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. দলিয়া (২০), মোহাম্মদ রবি আলম (১৯), মোহাম্মদ আলম (২৫), মোহাম্মদ শফিকুল (২৮), মোহাম্মদ নুর (২৫), মো. নুরে আলম (৪০), মো. আলী আহমদ (২০) ও মো. নুরুল আমিন (২৫)। তাঁরা ওই ট্রলারে ছিলেন। তাঁরা মিয়ানমারের আকিয়াবের সিবপুরা ও আড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারে করে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে ঢুকছে—গোপনে এমন সংবাদ পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড টেকনাফের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে অভিযানে যায়। এ সময় সন্দেহ হলে মাছ ধরার একটি ট্রলারে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির একপর্যায়ে সেখান থেকে ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ট্রলারটিতে থাকা মিয়ানমারের আট নাগরিককে আটক করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াবার চালানটি কার কাছে নেওয়া হচ্ছিল, সে ব্যাপারে জানতে আটক আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোহেল রানা আরও বলেন, সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান রয়েছে। এ কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সমুদ্রপথকে নিরাপদ ভেবে ইয়াবার চালান পাচার করছে বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় একটি বড় চালানসহ মিয়ানমারের আটজনকে আটক করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড। জব্দ করা ইয়াবাসহ মিয়ানমারের আটক নাগরিকদের টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
এম সোহেল রানা জানান, গত আড়াই মাসে শুধু কোস্টগার্ড নাফ নদী ও সেন্ট মার্টিনের আশপাশের এলাকা থেকে ১৬ লাখ ৭০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।