সমাজসেবা অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি দপ্তরটির একজন কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার দুদক এই অভিযান পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য পেতে ঘুষ দিতে হয় মর্মে দুদকে অভিযোগ আসে। দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) আসা ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার এনফোর্সমেন্ট দল অভিযান চালায়। সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার ও উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত দলটি অভিযান চালিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা উদ্ঘাটন করে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দুদক দলটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাওছার আহমেদের দুর্নীতির প্রমাণ পায়। দুদক বলছে, ওই কর্মকর্তা যেকোনো আর্থিক সাহায্যের চেক দেওয়ার সময় কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন। টাকা না দিলে গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরও ভোগান্তিতে ফেলেন তিনি। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিও ঘুষ না দেওয়ায় প্রাপ্য অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দুদক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে।
অভিযানকালে দুদকের দলটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের এক কর্মচারী ও দালালদের সঙ্গে কাওছার আহমেদকে ঘুষ নিয়ে দর-কষাকষি করতে দেখে।
দুদকের উদ্ঘাটিত এ দুর্নীতির তথ্য দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ ও অফিস সহকারী হাফিজুর রহমানকে বিকেলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি দপ্তরে দুর্নীতির জঞ্জাল অপসারণে দুদক অব্যাহত অভিযান চালাচ্ছে। সরকারের সব দপ্তরই নজরদারির আওতায় আছে।’