এক বন্ধুকে সঙ্গে করে মিষ্টি ও জুস নিয়ে চাচাশ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে যান আমিনুর রহমান (২৫)। সেখানে যাওয়ার আগেই তাঁরা ঘুমের ওষুধ গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেন মিষ্টি ও জুসের সঙ্গে। তা খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ওই সুযোগে বন্ধুকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুরকে আজ বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আজ সকালে সখীপুর থানায় দুজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ বিকেলেই প্রধান আসামি আমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। আমিনুরের বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটি বর্তমানে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। গ্রেপ্তার আমিনুর ট্রাকচালক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রহমান কিছুদিন আগে একটি নতুন ট্রাক কেনেন। নতুন গাড়ি কেনা উপলক্ষে তিনি চাচাশ্বশুরের বাড়িতে মিষ্টি ও জুস নিয়ে যান। ঘুমের ওষুধ মেশানো ওই জুস ও মিষ্টি খেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পড়লে আমিনুর ও তাঁর বন্ধু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
মামলার বাদী বলেন, ঘটনার পরের দিন রোববার সকালে একে একে সবাই জ্ঞান ফিরে পান। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির চার সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সোমবার সকালে চিকিৎসক সবাইকে ছেড়ে দিলেও ওই মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আমিনুরকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।