শ্যালিকাকে (১৫) ধর্ষণের পর যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টাকালে দুলাভাইকে (২৭) হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ আজ শনিবার ওই ব্যক্তিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
ওই ব্যক্তির বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায়। কিশোরীর বাড়িও একই উপজেলায়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কিশোরীর সঙ্গে পাশের গ্রামের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক আছে। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর চাচাতো বোনের স্বামী ফন্দি আঁটেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে শ্যালিকাকে ওই তরুণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিশোরী রাজি হলে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে তিনি শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হন। রাতে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। পরের দিন সকালে কিশোরীকে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির প্রধান ফটকের কাছে নিয়ে যান তিনি। কিশোরী বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন।
কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হলে সে ফোনে পরিবারকে সবকিছু জানায়। গতকাল শুক্রবার মেয়েটির বাবা মামলা করেন। কিশোরীর বাবা এহেন কাজের জন্য দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আজ কিশোরীকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।