পিইসিতে জালিয়াতি

শ্যামনগরে চার ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক, 'দালালের'র দুই বছরের কারাদণ্ড

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় চার ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এসব শিশুকে সরবরাহের দায়ে এক ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার শ্যামনগরের ভরুলিয়া নাকবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাহিদ হাসান খান আটক শেষে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান।

নাহিদ হাসান খান বলেন, কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লাহ গাজী। তিনি মূল চার পরীক্ষার্থীর বদলে টাকার বিনিময়ে এসব শিশুকে জোগাড় করেন। হাবিবুল্লাহকে পাঁচ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়। এই চক্রের মূল হোতা মাহতাব উদ্দিন নামের এক শিক্ষক।

নাকবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আটক চার শিক্ষার্থী হলো বুশরা আক্তার, সুমাইয়া পারভিন, আতিক হাসান ও মোহাম্মদ আহমদ উল্লাহ। তাদের মধ্যে বুশরা ও সুমাইয়া উপজেলার বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে, জবেদা সোহরাব মডেল একাডেমিতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে আতিক ও তাব ইবনে মাদ্রাসায় হাফিজিতে পড়ে মোহাম্মদ আহমদ উল্লাহ। আজ ছিল প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর তৃতীয় পরীক্ষা।

কেন্দ্র সূত্র জানায়, এসব শিক্ষার্থী ব্রহ্মশাসন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এর মধ্যে খাদিজা আক্তারের স্থলে বুশরা, নাসিমা খাতুনের স্থলে সুমাইয়া, সাগর রহমানের স্থলে আতিক ও ফারুক হোসেনের স্থলে মোহাম্মদ আহমদ উল্লাহ পরীক্ষায় অংশ নেয়।

নাহিদ হাসান খান বলেন, আটক শিশু শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াত চক্রের প্রধান উপজেলার ভরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ব্রহ্মশাসন মাদ্রাসার শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে নিয়মিত মামলা করার জন্য শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরও বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তদন্ত দল জেলা প্রশাসক বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি জানান,অন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্ট চার পরীক্ষার্থী এ বছর আর পরীক্ষা দিতে পারবে না।