নড়াইল সদর উপজেলায় সালিসের মাধ্যমে শিশু ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সলেমান মোল্লাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সলেমান মোল্লা, মোনায়েম শেখ, আবু তাহের মোল্লা, বক্কার মোল্লা, আজিজার মোল্লা, আমজাদ মোল্লা, সুপ্রেম উল আলম ও আলী মিয়া। এর আগে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সবুর ভূঁইয়াকে আটক করা হয়।
গত ২ ডিসেম্বর পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন আমজাদ মুন্সি। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হলেও এলাকার কয়েকজন মাতবর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মীমাংসার উদ্যোগ নেন। আসামি আমজাদ মুন্সি পলাতক থাকা অবস্থায় তিন দফা সালিশি বৈঠকের পর গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানায় বিষয়টি মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। জরিমানার টাকা থেকে ৭০ হাজার পাবে ভুক্তভোগী পরিবার, ১০ হাজার পাবেন মাতবরেরা, বাকি টাকা পুলিশ এবং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য ব্যয় করা হবে—এমন সিদ্ধান্ত আসে বৈঠকে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, থানায় শিশু ধর্ষণ মামলা রুজু করা সত্ত্বেও গ্রাম্য মাতবরেরা সালিসের মাধ্যমে আইনকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, টাকা ভাগাভাগি ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকার কোনো সুযোগ নেই। সালিসের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত আসামিসহ অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।